Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ব্যানার-২
বিস্তারিত

নার্সারি

নার্সারির ব্যবসা কনটেন্টটিতে নার্সারির ব্যবসা কীভাবে করা যায়, নার্সারির ব্যবসা করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কীভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সে বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে ।

নার্সারি

 

 


নার্সারি হলো বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি বিশেষ ধরণের খামার যেখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নিবিড়ভাবে বীজ, চারা, কলম উৎপাদন, পরিচর্যা ও বিক্রি করা হয়। কমপক্ষে ৩ ধরণের চারা নিয়ে নার্সারি শুরু করতে হয়। চারার মান উন্নয়নের জন্য ইদানিং সব চারা কলম পট অথবা পলিব্যাগে করা হয়। এর ফলে রোপণের জটিলতা, নিড়ানি এবং চাষকালীন পরিচর্যার ঝামেলা এড়ানো যায় এবং বিক্রয় ও পরিবহণের সুবিধাও পাওয়া যায়। নার্সারি ব্যবসার মৌসুম হলো বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত। বর্ষাকালে চারা সহজেই বাঁচে এবং দ্রুত বড় হয়। এজন্য এ সময়ে চারা বেশি বিক্রি হয়। শীতকালে চারা বড় হয় না এবং গরমের দিনে চারা শুকিয়ে মরে যায়। মূলত আষাঢ়, শ্রাবণ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ভাল বিক্রি হয়। এ ব্যবসার মাধ্যমে অবসর সময়ে অল্প জায়গায় বেশি চারা উৎপাদন ও বিক্রির মাধ্যমে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।

বাজার সম্ভাবনা

গ্রামাঞ্চলে এখন ফলের বাগান করার একটি প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া ঔষধি গাছের চারা লাগিয়েও তা বিক্রি করা যায়। ফুল গাছের চারার চাহিদাও শহরাঞ্চলে অনেক দেখা যায়। হাটে নিয়ে ফেরি করে চারা বিক্রি করা যায়। এছাড়া বিক্রয় কেন্দ্রেও চারা বিক্রি করা যাবে।

নার্সারীতে চারা উৎপাদন পদ্ধতি

বীজতলার মাপ ও তৈরি

  • একটি আদর্শ বীজতলার মাপ ৩মিটার দীর্ঘ (১০ফুট) ও ১ মিটার প্রস্থ (৩ফুট) হতে হবে। চারার সংখ্যানুযায়ী বীজতলার দৈর্ঘ্য কমানো বা বাড়ানো যাবে।
  • বীজতলার জমির উচ্চতা ১৫ সে.মি. হতে হবে।
  • গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজতলার উচ্চতা ভিন্ন হবে। গ্রীষ্মকালীন বীজতলার উচ্চতা ১৫ সে.মি. এবং শীতকালীন বীজতলার উচ্চতা হবে ৭ সে.মি.।
  • বীজতলায় চারা থেকে চারার দূরত্ব রাখতে হবে কমপক্ষে ৪ সে.মি.।
  • দুইটি বীজতলার মাঝে ৪৫ সে.মি. (প্রায় এক হাতের মত জায়গা) ছেড়ে দিতে হবে।
  • বীজতলার অল্প জায়গায় অনেক চারা উত্তোলন করা যাবে।
  • চারা বড় হলে পলিথিন ব্যাগে তুলে স্থানান্তর করতে হবে।

 

বীজ বপনের জন্য জমি ও বেড তৈরি

  • নার্সারির জমি তৈরির ক্ষেত্রে লাঙ্গলের পরিবর্তে কোদাল দিয়ে জমি কুপিয়ে নিতে হবে।
  • বীজ যত ছোট হবে (তামাক, সরিষা) মাটি তত বেশি ঝুরঝুরে করতে হবে।
  • বেড তৈরি করে নিলে চারা লাগানো, সার দেয়া ও চারার পরিচর্যা করতে সুবিধা হবে।
  • চারা রোপণ ও পরিচর্যার সুবিধার জন্য বেডগুলো ২০ হাত লম্বা ও ৪ হাত চওড়া হতে হবে।
  • ছোট আকারের বীজ সমতল হতে ৫ মি.মি. গভীরে বপন করতে হবে।
  • বড় আকারের বীজ যেমন- সিম, লাউ, করলা ইত্যাদি সমতল থেকে ২-৩ সে.মি. গভীরে বপন করতে হবে।
  • যেসব বীজের আবরণ শক্ত (যেমন-বড়ই) সেগুলোর ক্ষেত্রে বীজকে বিশেষভাবে ফাটিয়ে বপন করতে হবে।
  • বিভিন্ন প্রকার সবজির বীজ কত সময় ভিজিয়ে রাখার পর বপন করতে হবে তা নিচে দেয়া হলো: